দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মী আটকের এমন পরিস্থিতি এড়াতে ভিসার নতুন ধরন নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার হুন্দাই মেটাপ্ল্যান্টে হঠাৎ অভিযান চালায় ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও আইসিই। আটক করা হয় ৪৭৫ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মসংস্থান ও ভিসা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
এরপর দুই দেশের মধ্যে জরুরি আলোচনার পর আটককৃতদের ফেরত পাঠানো হবে বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন। অবশেষে আটদিন পর স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিউলের ইনচন এয়ারপোর্টে পৌঁছায় তাদের বহনকারী বিমানটি। এসময় তাদের স্বাগত জানান ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: গোপনে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের প্রস্তুতি ট্রাম্পের, জিনপিং ও কিমের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন!
দেশে ফিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় মার্কিন অভিযানে আটক কর্মীদের। এসময় বিমানবন্দরে তাদের দেখে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়লে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এদিন যারা দেশে ফেরেন তাদের একজন বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমরা কারখানা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। জানি না কাজের জন্য বা অন্য কোনো প্রয়োজনে ভবিষ্যতে কারো সেখানে যাওয়ার দরকার হলে ভিসা কিভাবে কাজ করবে। এমন পরস্থিতি চলতে থাকলে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে বা কাজ করতে চাইবে না।’
কর্মীদের আটকের ঘটনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভুল পদক্ষেপ বলেন জানিয়ে দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে ভিসার নতুন ধরন প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সিউল-ওয়াশিংটন একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়ার ৩ শতাধিক নাগরিক আটক
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন বলেন, ‘আমাদের এই কর্মীরা কাজের জন্য যখর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবে তখন তারা যেন এ ঘটনার জেরে নতুন করে কোনো সমস্যার মুখোমুখি না হয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় তার দাবি জানিয়েছি। এ বিষয়ে ওয়াশিংটন ডিসি আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।’
]]>