প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধের পর ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করে নিলে ইউএই এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো সেখানকার পুনর্গঠন, নিরাপত্তা এবং শাসন পরিচালনা সাময়িকভাবে দেখভাল করতে পারে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদার। তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও আছে আবুধাবির। আর তাই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর প্রভাব রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির।
তবে আমিরাতের আলোচনা থেকে যেসব পরিকল্পনা বেরিয়ে এসেছে সেগুলোর কোন বিশদ রূপরেখা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে কিংবা লিখিত আকারে সেসব পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়নি এবং কোন সরকারও তা অনুমোদন করেনি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি চুক্তি / ৩৪ জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস
এই আলোচনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ)- এর উল্লেখযোগ্য পুনর্গঠন, ক্ষমতায়ণসহ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বিশ্বাসযোগ্য একটি রূপরেখা পত্তনের বিষয়টি পরিকল্পনায় না থাকলে সে আলোচনায় ইউএই অংশ নেবে না।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই বিষয়গুলো- বর্তমানে যেগুলোর অভাব রয়েছে- এগুলোই হচ্ছে গাজায় যুদ্ধপরবর্তী যেকোনো পরিকল্পনা সফল হওয়ার জন্য জরুরি।
এদিকে ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে গাজা ইস্যুতে তিনি বলেছেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া না হলে ২০ জানুয়ারির পর মধ্যেপ্রাচ্যজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধে প্রায় ৯০০ ইসরাইলি সেনা নিহত
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ের এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের উচিত ছিল আরও আগেই ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া।
ট্রাম্প আরও বলেন, এটি হামাসের জন্য ভালো হবে না। এমনকি কারও জন্যই এটি ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমি আর কিছুই বলতে চাই না।
]]>