যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মসূচি সব দেশের কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল, যেখানে যুক্তরাজ্যের সমস্ত সামরিক কোর্স আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার উপর জোর দেয়। কিন্তু গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়ানোর ইসরাইলি সরকারের সিদ্ধান্ত ভুল।
মুখপাত্র আরও বলেন, এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এখনই একটি কূটনৈতিক সমাধান বের করতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়া এবং গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন:দ্য টেলিগ্রাফ / ভালোভাবে খোঁজ খবর না নিয়েই ম্যান্ডেলসনকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেন স্টারমার!
১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ কলেজটি প্রথমবারের মতো ইসরাইলিদের নিষিদ্ধ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আমির বারাম এবং আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন ইসরাইলি অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন যারা এই স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এদিকে, দ্য টেলিগ্রাফের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বারাম এই পদক্ষেপকে বৈষম্যমূলক এবং যুদ্ধে থাকা মিত্রের প্রতি আনুগত্যহীনতার গভীর অসম্মানজনক কাজ বলে নিন্দা করেছেন।
বারাম আরও লিখেছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাজ্যের যে সহনশীলতার ঐতিহ্য রয়েছে তা ভঙ্গ করা।
তিনি দাবি করেন, ইসরাইল ইয়েমেনের হুতি আগ্রাসন থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলকে রক্ষা করছে, পারমাণবিক অস্ত্র একটি ইসলামপন্থি সরকারের হাতে পড়া রোধ করছে, এবং হামাসের বন্দীদশা থেকে ৪৮ জন জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছে।
আরও পড়ুন:লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী লাখো মানুষের বিক্ষোভ
সম্প্রতি লন্ডন এবং জেরুজালেমের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, কারণ গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে যুক্তরাজ্যে ক্ষোভ বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরাইল
]]>