স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করেন। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আকস্মিকভাবে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, যমুনার পানি হঠাৎ ৯৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার দুপুর থেকে শহরাবাড়ি ও বানিয়াজান পয়েন্টে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়। আতঙ্কে ইতিমধ্যে শহরাবাড়ি ঘাটের অন্তত ১০টি দোকান ও ৫টি বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়রা। গত ছয় মাসে এই দুই এলাকার প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে।
২০০১ সালে নদীভাঙন রোধে শহরাবাড়ি এলাকায় একটি স্পার নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কোটি কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হয়নি। এবারও নতুন করে শুরু হওয়া ভাঙন স্থানীয়দের জীবনে ফিরিয়েছে দুঃস্বপ্নের দিন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের আলামত নষ্টের অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বগুড়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ‘উজানের ঢল, নতুন চর জেগে ওঠা আর অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনার প্রায় আট কিলোমিটার এলাকা সংরক্ষণে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ভাঙন প্রতিরোধে শহরাবাড়ি থেকে বানিয়াজান পর্যন্ত ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ হাজার ৫০০ জিও ব্যাগ ও ১ হাজার ৫০০ জিও টিউব ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে, সবকিছু হারানোর আশঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষ এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের চোখে শুধু ভাঙনের স্রোত আর ফিরে আসার অনিশ্চয়তা।
]]>