সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ আছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর মারা যান নুরুল হুদা। পরদিন সকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। মৃত্যুকালে নুরুল হুদা রেখে গেছেন মা-বাবা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, ১০ বছরের মেয়ে নুসরাত নেহা এবং তিন বছরের ছেলে আবিদ হাসানকে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার দুপুরে আসমা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেয় নুরুল হুদার দ্বিতীয় পুত্রসন্তান। সন্তান জন্মের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা হাসপাতাল ও পরিবারের পাশে ছিলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ৩ ফায়ার ফাইটারসহ ৪ জনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
জন্মের খবর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শহীদ ফায়ার ফাইটারের বাবা আবুল মুনসুর। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে হারালাম, কিন্তু সে বাবা হয়ে গেল না দেখে। আমার নাতি জন্ম নিলো এতিম হয়ে। আল্লাহ যেন আমার এই নাতিকে তার হেফাজতে রাখেন।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, ‘আসমা খাতুনকে গতকাল ভর্তি করা হয়। আজ সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়েছে। মা ও শিশু সুস্থ আছেন। হাসপাতাল পরিচালকসহ আমরা সার্বক্ষণিকভাবে তাদের খোঁজখবর রাখছি।’
ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক পূর্ণ চন্দ্র বলেন, ‘নুরুল হুদার পরিবারের প্রতি সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের সহকর্মীরা আসমা খাতুনকে গ্রামের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে বিশেষ কক্ষে রাখা হয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ টিম গঠন করে সিজারিয়ান সম্পন্ন করে। শহীদ পরিবারের প্রতি যে সম্মান ও আন্তরিকতা দেখানো হয়েছে, তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
]]>