বিভিন্ন সময় খবরও ছড়িয়েছে সালেহ আহমেদ মারা গেছেন। কিন্তু মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেও ভালো নেই সালেহ আহমেদ।
জানা যায়, সালেহ স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে মানুষকে সুখি করবেন। আর এজন্য জীবন বাজি রেখে সব সংঘর্ষে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। শরীর থেকে এখনও বুলেট বের করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দেড় মাস ধরে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। অর্থকষ্টও দেখা দিয়েছে মারাত্মক।
আরও পড়ুন: ১১০ দিন পর আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ভিক্ষুকের পা থেকে বুলেট অপসারণ
চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এরই মধ্যে সংসারের অবলম্বন গবাদি পশু (গাভী) বিক্রি করে দিয়েছেন। এই গাভীর দুধ বিক্রি করেই চলতো তার সংসার ও দুই ছেলের লেখাপড়া। এখন সন্তানদের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ অবস্থায় অনেকটা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন আহত সালেহ আহমেদ ও তার স্ত্রী।
গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমেদের স্ত্রী হালিমা আক্তার জানান, স্বামী যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য। দেশের মানুষকে সুখী করতে চেয়েছিলেন তিনি। এখন নিজে দুটো ভাত যোগাড় করতেও যুদ্ধ করতে হচ্ছে পুরো পরিবারকে।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হাসানকে নেয়া হলো থাইল্যান্ড
তিনি বলেন, ‘স্বামীকে নিয়ে আমি এখন যুদ্ধ করছি। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সাহায্য করছেন। তাদের অবদান ভোলার মতো নয়। আমি বাড়িঘরের সব বিক্রি করে শেষ করেছি। সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন গাভীও বিক্রি করেছি। এ গাভীর দুধ বিক্রি করেই আমাদের সংসার চলতো। সন্তানদের লেখাপড়া চলতো। এখন বাকি জীবন কীভাবে চলবে সেটা ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়েছি।’
সালেহ আহমেদের স্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার দুই ছেলে হাফেজি পড়ছে। তাদের পড়া এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। স্বামীর চিকিৎসা এবং সন্তানদের পড়ালেখা চালানোর জন্য তিনি সবার সহায়তা কামনা করেছেন।’