আবদেল ফাত্তাহ এই মামলা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম যেভাবে ‘দোষী ব্যক্তিকে ভিকটিম হিসেবে চিত্রিত করার জন্য বিকৃতভাবে তথ্য উপস্থাপন করছে।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সরকারের কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপের কারণে তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, ভারত সরকার ভুক্তভোগীর (ইয়েমেনের নাগরিক) পরিবারকে অন্তত বুধবার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখতে রাজি করাতে সফল হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, প্রিয়াকে মুক্তি দেয়া হবে অথবা ভারতে ফেরত পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ওড়িশায় গায়ে আগুন লাগিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ‘সিস্টেম হত্যাকাণ্ড’ মন্তব্য রাহুলের
প্রতিবেদন মতে, ভারতীয় ওই নার্স প্রিয়া ২০১৭ সালে নিজের ব্যবসায়িক অংশীদার তালাল আবদুকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। বর্তমানে তিনি ইয়েমেনের রাজধানী সানায় আছেন, যেটা বিদ্রোহী হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। তবে হুতিদের সাথে ভারতের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
সূত্রের মতে, ভারত সরকার এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব সহায়তা দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নিমিশা প্রিয়ার পরিবারকে ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে পারস্পরিক সম্মতিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর জন্য আরও সময় দেয়ার জন্যও সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংবেদনশীলতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় কর্মকর্তারা স্থানীয় (ইয়েমেনের) কারা কর্তৃপক্ষ এবং প্রসিকিউটরের অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। যার ফলে এই স্থগিতাদেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
]]>