শনিবার (৪ অক্টোবর) মুজিবনগর বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ১০৫ এমপি’র কাছে বাংলাদেশের সীমান্ত অংশে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান নেতৃত্ব দেন। তার সঙ্গে স্টাফ অফিসারসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
অপরদিকে বিএসএফের পক্ষে ভারতের ১৬১ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুভাস চন্দ্র গাগুয়ার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়া: ভারতের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষের কমান্ডাররা পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানান এবং সৌজন্য বিনিময় করেন। পরে সীমান্তে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, সীমান্ত হত্যা রোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ, বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ পুশ-ইন বন্ধ রাখা এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিভিন্ন সীমান্তসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট শ্রী গাগুয়ার পূর্বে অনুমোদিত সীমান্ত পিলার ৮৭ থেকে ৯২/৮-আর পর্যন্ত কাঁটাতারবিহীন এলাকায় ভারতীয় অংশে কাঁটাতার স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এর জবাবে বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, উক্ত এলাকায় বর্তমানে ভৌগলিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হওয়ায় নতুন করে যৌথ পরিদর্শন (JRD) প্রয়োজন। তাই নতুন করে প্রস্তাবনা পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: পিছু হটল বিএসএফ, অনুমতি ছাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নয়
এছাড়া কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়ে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের কমান্ডাররা সীমান্ত পিলার ১০৫ পরিদর্শন করেন এবং ভবিষ্যতেও পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখতে এ ধরনের নিয়মিত পতাকা বৈঠক অব্যাহত থাকবে।