নিহত স্যামুয়েল হাসদা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সরকার হালদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডেজিনাস নলেজ (বারসিক) এ কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি বারসিকের সহযোগী সমন্বয়ক হিসেবে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার কমল দত্ত জানান, চলতি অক্টোবর মাসের ১ তারিখে পূজার ছুটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে যান স্যামুয়েল। ছুটি শেষে সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে তিনি মানিকগঞ্জে ফিরে আসেন। আজ সকালেই কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল। তবে বেলা গড়িয়ে গেলেও অফিসে না পৌঁছানোয় সহকর্মীরা তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন।
যোগাযোগ করতে না পেরে তারা সরাসরি তার বাসায় যান। দীর্ঘক্ষণ দরজায় ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালার সহায়তায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে স্যামুয়েল হাসদার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় ড্রামের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।