এ সময়কালে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সব ধরনের মৎস্য নৌযান কর্তৃক ইলিশসহ অন্যান্য মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়নে দেশের সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। 'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার' নীতির আওতায় অভিযান পরিচালনা করছে নৌবাহিনীর জাহাজ, ক্রাফট এবং বোটসমূহ।
নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের অভিযানে মোট ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের ৯টি উপকূলীয় জেলায় মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে- চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি, শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল; কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত; খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা, চিত্রা, তিতাস; বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া, আবু বকর, দুর্গম; পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা; বরিশাল এলাকায় বানৌজা পদ্মা, চিত্রা, তিতাস এবং পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ রক্ষায় ১৭ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর
এছাড়া গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যুদ্ধজাহাজ ও আধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে নৌবাহিনী।
নৌবাহিনীর এই অভিযান স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান চলাকালে অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন ক্ষেত্রগুলো সুরক্ষিত রাখা, অবাধ প্রজননের সুযোগ সৃষ্টি এবং জাতীয় সম্পদ মা ইলিশের সুষ্ঠু সংরক্ষণে তারা সর্বদা নিবেদিত। সমুদ্র ও নদ-নদীতে নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ নিশ্চিত করে ইলিশের প্রাচুর্য ও দেশের মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধিতে নৌবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।