আসছে বসন্ত, বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনগুলো উদযাপনে ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এজন্য ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা ফুল বাগানগুলো বাড়তি পরিচর্যা নিচ্ছেন মালিক ও শ্রমিকরা।
সদরের নারগুন ও বেগুনবাড়িতে গড়ে উঠা বাগানের গাছে লাল, সাদা, হলুদসহ বাহারি রঙের গোলাপ ফুটেছে। হাজার হাজার কলিতে ছেয়ে গেছে ফুল বাগান। পাশাপাশি, সুর্যমুখী, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গাদা, কসমসসহ নানা জাতের ফুল উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করতে বাগানগুলোকে সাজানো হচ্ছে ভিন্ন রূপে। দিবসগুলোতে ফুলের বাড়তি চাহিদা থাকায় বাগান পরিচর্যায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। ফুল কিনতে দূরদূরান্ত থেকে এখন থেকেই বাগান মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির তিন দিবসে শত কোটি টাকা আয়ের আশা যশোরের ফুল চাষিদের
ঠাকুরগাঁও সদরের বেগুনবাড়ি এলাকার বাগান মালিক মো. আলিউর রহামান বলেন, বাজার বেশ ভালো রয়েছে। সামনে ১৪ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রয়েছে। এ উপলক্ষে কাজ করছেন বাগান মালিকরা। আশা করা যাচ্ছে ভালো বেচাকেনা হবে।
স্বাচ্ছন্দ্যে ফুলের ব্যবসা পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগিতা আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের আইনি সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা জেলার ছোট-বড় আটটি ফুল বাগানে গড়ে প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। ফুল বিক্রি করে একটি দিবসেই প্রায় পনেরো লাখ টাকা আয় করার আশা বাগান মালিকদের।
]]>