ভেঙে দেয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহাল চায় নেপালের শীর্ষস্থানীয় আট দল

৩ সপ্তাহ আগে
নেপালের পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে শীর্ষস্থানীয় আট দল। প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট বিলুপ্তির ঘোষণাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে তারা। এটা করার এখতিয়ার তার নেই।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে দলগুলো এই দাবি জানায়। এতে নেপাল কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল, মাওয়িস্ট সেন্টারসহ মোট আটটি দলের প্রধান হুইপ সই করেন।

 

পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা বিক্ষোভকারীদের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।

 

এদিকে নেপালের জেন-জি বিদ্রোহের পর নতুন সূচনা হলেও, রয়ে গেছে নিহতদের পরিবারে আপনজন হারানোর শোকের ক্ষত। দুইদিনের বিক্ষোভে প্রাণ হারান অর্ধশতাধিক। সরকার পতনে নেতৃত্ব দেয়া এই তরুণ প্রজন্মের বেশ কয়েকজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

 

নিহতের পাশাপাশি নেপালজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়েছেন হাজার খানেক বিক্ষোভকারী। স্থানীয় সময় শনিবার আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি। এ সময় তিনি পুলিশের গুলিতে আহত বিক্ষোভকারীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি রোববার নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্য যুক্ত করতে পারেন বলে জানা গেছে। এর আগে, তার নেতৃত্বে একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়।

 

আরও পড়ুন: ভেঙে দেয়া হলো নেপালের পার্লামেন্ট, মার্চে নির্বাচন

 

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে শপথ নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। দুর্নীতি-বিরোধী সহিংস আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির পদত্যাগের পর অস্থির দেশটির দায়িত্ব নেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার কয়েকঘণ্টা পরই নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখারেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৫ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

সপ্তাহজুড়ে চলা বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকে ‘জেন জি আন্দোলন’ বলা হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন