বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি ঘটনার ভিকটিম রিপন ব্যাপারীর ছোট ভাই। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চোখ হারানো রিপন ব্যাপারী বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।
চোখ উৎপাটনের ব্যাপারে মুলাদী থানা পুলিশ মামলা না নিলেও ২৫ আগস্ট রিপনের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে স্বপন ব্যাপারী, রোকন ব্যাপারী, আর্শেদ ব্যাপারীসহ ৮ জনকে আসামি করে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করে বলে জানান আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নাজিম উদ্দিন পান্না।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন বরিশালের অর্ধশতাধিক স্পটে বসে মাদক বেচাকেনার ‘হাট’
ভুক্তভোগীর ছেলে শাহিন ব্যাপারী জানান, বাড়ির জমির মিমাংসা এবং গচ্ছিত টাকা-স্বর্ণালঙ্কার ফেরত চাওয়ায় রাতে আমার বাবাকে ধরে নিয়ে আমার দাদা আর্শেদ ব্যাপারীর সামনেই চোখ তুলে তার হাতে চোখ দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তরুণী ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার সাথে যে নির্মম নির্যাতন হয়েছে তা ভিডিওতে দেখা গেছে। ভিডিওতে বাবার বুকে চেপে যাকে আঙুল দিয়ে বাম চোখ উৎপাটন করতে দেখা গেছে তিনি রোকন ব্যাপারী। বাবার পা চেপে ধরা ব্যক্তি স্বপন ব্যাপারী। যার হাতে উৎপাটিত একটি চোখ ছিল তিনি রোকন ব্যাপারীর স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম এবং তার মেয়ে সুবর্ণা আক্তার মারধর করছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা খুব আতঙ্কে আছি। এলাকায় যেতে পারছি না।’