বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইদ্রিসকে একটি বদ্ধ ঘরে চোখ বেঁধে ফেলে রাখার ছবি পাঠিয়ে মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাজের উদ্দেশে বেনাপোলের ঘিবা গ্রাম থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ইদ্রিস। পরে পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুধবার (১ অক্টোবর) পুলিশে অভিযোগ দেয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ফের সক্রিয় আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্র
ইদ্রিসের বাবা আজিজুর রহমান জানান, সংসারের অভাব অনটনের কারণে তার ছেলে বেনাপোল বাজারের একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে গত মাসে চাকরি নেয়। গত সপ্তাহে ৩ দফা তার ছেলেকে বেনাপোল বাজারের মেয়র মার্কেটে ফেলে মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ থেকে ১০ সদস্য। পরে ছেলেকে আবারও তারা মারার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজের উদ্দেশে বেনাপোল বাজারে আসে। কিন্তু দুপুরের পরে তার ফোন বন্ধ থাকে এবং নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে গ্যারেজে যায়নি। না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দেয়া হয়। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইদ্রিসের বোনের মোবাইলে ইদ্রিসকে চোঁখবাধা অবস্থায় একটি নির্যাতনের ছবি পাঠিয়ে মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিমন্ত্রণে গিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত সেই ৫ জন উদ্ধার
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে সন্দেহভাজন রেজওয়ান, এজাজ ও হাবিব নামে তিন কিশোরকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা ইদ্রিসকে মারধরের ঘটনার সময় ছিলেন স্বীকার করলেও অপহরণের বিষয়ে তাদের কোনো হাত নেই বলে জানান। তাকে উদ্ধার ও এ ঘটনার প্রকৃত কারা জড়িত থাকতে পারে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।