বেনাপোল: বাণিজ্যে ১৪ কোটি ও ভ্রমণে ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয়

১ সপ্তাহে আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৩২০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়েছে। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ১৯৭৫ জন দেশ-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার হয়েছেন। বাণিজ্য ক্ষাতে সরকারের প্রায় ১৪ কোটি এবং ভ্রমণ ক্ষাতে প্রায় ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন বেনাপোল রুটে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বন্দরের তথ্য মতে, রোববার সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। এদিন ভারত থেকে  আমদানি হয়েছে ২৭৫ ট্রাক পণ্য।


আরও পড়ুন: বেনাপোলে একদিনে ৫১৯ ট্রাকের আমদানি-রফতানি, ২২২৬ পাসপোর্টধারীর যাতায়াত


আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল,তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, শিশু খাদ্য, মেশিনারিজ দ্রুব্য,অক্সিজেন, বিভিন্ন প্রকারে ফল, চাল, পেঁয়াজ, মাছসহ বিভিন্ন পণ্য। বাংলাদেশি ৪২ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছে।  এসব পণ্যে মধ্যে উল্লেখ্য ছিল: বসুন্ধরা টিসু, মেলামাইন, কেমিক্যাল, মাছ ও ওয়ালটন পণ্যসামগ্রী।


বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, গত ৫ আগস্টের পর দুই দেশের একের পর এক বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত অর্ধের নিচে কমে এসেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।


আরও পড়ুন: বেনাপোলে গত অর্থবছরের চেয়ে রাজস্ব আয় বেড়েছে ৬ কোটি টাকারও বেশি


ইমিগ্রেশন তথ্য জানান, ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে শুরু হয় পাসপোর্টধারী যাতায়াত। রোববার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে  সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে মোট যাতায়াত করেছে এক হাজার ৯৭৫ জন। এদের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে ১০৪৮ জন এবং ভারত থেকে ফিরেছে ৯০৯  জন।


এ দিকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ১৩ অক্টোবর রেলপথে ভারত থেকে ১০০টি ট্রাক্টর আমদানি হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। এ ছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন