বিয়ে বাড়ির স্পিডবোট ডুবি: বরের বোনসহ আরও ২ মরদেহ উদ্ধার

৩ সপ্তাহ আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী ধনু নদীতে বিয়ে বাড়ির স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় বরের বোনসহ আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের ধনু নদীর কিনারা থেকে ওই দুই ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলো: একই এলাকার স্বপন মিয়ার শিশুকন্যা লায়লা (০৭) ও বর রানা মিয়ার বোন শিরিন (১৮)।


এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোফায়েল মিয়ার মেয়ে উষামনির (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো একই এলাকার মাসুম মিয়ার মেয়ে সামিয়া (১১) নিখোঁজ রয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাচহাট আন্ধার গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বিয়ে ঠিক হয় পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার মিরকা গ্রামে। শুক্রবার বিকেলে বরযাত্রী যাওয়ার কথা থাকলে গ্রামীণ পার্বণ পানি কাটতে যায় নারীরা। বাড়ির সামনে থেকে একটি স্পিডবোটে নারী শিশুসহ ১২ জন ওঠে।


আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বিয়ে বাড়ির আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে


পরে স্পিডবোটটি পাচহাট চরপাড়া গ্রামের মাঝামাঝি ধনু নদীতে ভিম জাল দিয়ে মাছ ধরার খোসা নৌকায় ওঠে পড়ে। এতে নৌকায় থাকা বাবা-ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে স্পিডবোট চালককে মারধর করতে বোটে লাফিয়ে ওঠে এবং বোটটি তখন তলিয়ে যায়।


বোটে থাকা নারীরা তাদের শিশুদের বাঁচাতে অনুনয় বিনয় করলেও তারা না বাঁচিয়ে বোটে চাপেন। এ সময় বোট ডুবে গেলে সাঁতরে ৮ জন অপর একটি নৌকায় বেঁচে উঠলেও বরের বোন শিরিন আক্তারসহ আরও তিন শিশু নিখোঁজ হয়।


আরও পড়ুন: ৭০ দিনেও খোঁজ মেলেনি বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ নাছিমার


এরপর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে।


ওইদিন দুপুরে এক শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠে এবং আজ পাচহাট গ্রামের স্কুলের পাশে ধনু নদীর কিনারায় আরও দুই শিশুর মরদেহ ভেসে উঠলে ডুবুরি, স্থানীয় ও স্বজনরা গিয়ে উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন