সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। হোটেলের বল রুমে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটের আনুষ্ঠানিকতা। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ১৯২ জন। তবে নরসিংদী থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন না দেয়ায় ভোটার সংখ্যা হয়েছে ১৯১ জন। ১৫টি ক্লাবের মনোনীত কাউন্সিলরদের নিয়ে জটিলতা থাকলেও আদালতের নির্দেশে গতকাল তারা ভোটাধিকার ফেরত পেয়েছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কয়েকটি বিভাগে নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল ১৫৬ জনের। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যমতে, এই ১৫৬ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১১৫ জন। অর্থাৎ ৭৩.৭১ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিসিবি নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুদকের কাছে তদন্তের দাবি
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশেই চলে ভোটগ্রহণ। সীমিত পরিসরের নির্বাচন হওয়ায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সুযোগ ছিল না। ভোটার এবং অথোরাইজড লোক ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না কারোরই। আর পুরো ভোটের সময় কোনো ধরনের কারচুপির অভিযোগও পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচিত ২৩ জনের সঙ্গে এনএসসি থেকে মনোনীত ২ জন পরিচালক নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন। রাত ৯টায় সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: হোয়াইটওয়াশের কৃতিত্ব জাকের দিলেন পুরো দলকে
ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা-বিভাগ কোটায় নির্বাচিত ১০ জন হলেন-
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আহসান ইকবাল চৌধুরি, আসিফ আকবর।
খুলনা বিভাগ- আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জুলফিকার আলি খান।
ঢাকা বিভাগ- নাজমুল আবেদিন ফাহিম, আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বরিশাল বিভাগ- সাখাওয়াত হোসেন।
সিলেট বিভাগ- রাহাত শামস।
রাজশাহী- মোখলেসুর রহমান।
রংপুর- হাসানুজ্জামান।
ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ঢাকার ক্লাব কোটায় নির্বাচিত ১২ প্রার্থী হলেন- ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম, মেহরাব আলম চৌধুরী, ফারুক আহমেদ, আমজাদ হোসেন, মোকসেদুল কামাল, মঞ্জুরুল আলম, আদনান রহমান দিপন, আবুল বাশার শিপলু, ইফতিখার রহমান মিঠু, ফয়জুর রহমান ও নাজমুল ইসলাম।
ক্যাটাগরি-৩ অর্থাৎ সাবেক ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোটা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হয়েছেন দুজন। তার হলেন- এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
]]>