নেদারল্যান্ডস সিরিজ এবং এশিয়া কাপকে সামনে রেখে গতকালই ঢাকায় অনুশীলন শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেটের বিমান ধরার কথা রয়েছে টাইগারদের। ঢাকা ছাড়ার আগে তাই আজ (১৮ আগস্ট) দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন জাকের আলী। এশিয়া কাপে দলের সম্ভাবনা এবং প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এদিন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন জাকের।
জুলিয়ান পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ শুরু করেছেন কেবল ৩-৪ দিন হয়েছে। এরই মধ্যে একটা জিনিসের ব্যবহার নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে। আর সেটা হলো প্রো-ভেলোসিটি ব্যাট। সম্প্রতি বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসকে উড এই ব্যাট দিয়ে ড্রাইভ, স্কয়ার কাট, পুলসহ বিভিন্ন শটের শ্যাডো প্র্যাকটিস করাচ্ছেন উড।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাবে বাংলাদেশ: জাকের
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রো ভেলোসিটি ব্যাটটি ব্যাটারদের হাত-চোখের সমন্বয়, শট খেলার সঠিক ক্রম এবং কমপ্যাক্ট মেকানিক্স গড়ে তুলতে সহায়তা করে। ব্যাটটির ভেতরে থাকে আটটি রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড। যত বেশি ব্যান্ড লাগানো হয়, তত কঠিন হয় ব্যারেলটি স্লাইড করানো। ব্যাটার যদি সঠিক মেকানিক্সে উচ্চ গতিতে সুইং করতে পারেন, তবে একটি ‘ডাবল ক্লিক’ শোনা যায়। আর যদি গতি ও টেকনিকে ঘাটতি থাকে, তবে কেবল একবারই ক্লিক শোনা যায়।
পাওয়ার হিটিং শেখার ক্ষেত্রে এই ব্যাট কেমন কার্যকরী, সেটা শুনুন জাকেরের মুখেই, 'ভালো একটা ফিলিংস আসে (প্রো ভেলোসিটি ব্যাট ব্যবহার করে)। যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা বের করা গেলে তখন ভালো লাগে। কিন্তু অনেক শক্তি লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে শক্তি লাগে, আরও বেশি চেষ্টা করতে হয়। এই জিনিসগুলো নিয়ে নিয়মিতভাবে কাজ করলে অবশ্যই কাজে দিবে।'
পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে উডের কাজ করার প্রক্রিয়া নিয়ে জাকের বলেন, 'এটা নির্ভর করে ব্যক্তির ওপরে, একেকজনের সুইং একেক রকম। কারও সুইং বেসবল টাইপ, কারও সুইং গলফ টাইপ। তো এটা ডিপেন্ড করে কে কোনটা নেবে। আসলে ও আসার পরেই বলছে, "আমি তোমাদেরকে এখানে... তোমার বেসিকের মধ্যেই পরিবর্তনটা আনতে চাইছি।" মানে ও ডিফারেন্ট কিছু দিয়ে দেবে না। যার যার প্যাটার্ন অনুযায়ী ও এই কাজটা (পাওয়ার হিটিং শেখানো) করার চেষ্টা করছে।'
]]>