গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাদমান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘চার-পাঁচ বছর হয়েছে, বিপিএল খেলা হয় না। আফসোস তো অবশ্যই লাগে। সবাই খেলে, আমি খেলতে পারছি না।’
টেস্টের ব্যাটার, সাদামানের কাছে এই ট্যাগ আনন্দের নাকি কষ্টের? এর উত্তরটাই হয়তো খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
লাক্কাতুরায় চলছে বিপিএল উৎসব। সতীর্থরা সবাই ব্যস্ত যে যার দলের সঙ্গে। তবে, সাদমান সীমাবদ্ধ মিরপুরের জিম আর ইনডোরে। তার করারও বা কি আছে, ড্রাফটের বাইরে থেকে অনেকে দল পেলেও সাদমানকে নিতে যে কেউ আগ্রহ-ই দেখায়নি। সবশেষ বিপিএল খেলেছিলেন ২০২০ সালে।
শেষ ৭ টেস্টে তিন ফিফটিতে সাদমানের করেছিলেন ৩৬৪ রান। তবে, এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না তার। ৫ ইনিংসে এক ফিফটিতে করেছেন ৯৫ রান। ভালো করতে না পারার কারণটাও জানিয়েছেন এই ব্যাটার।
গণমাধ্যমকে সাদমান বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজ খেলে এসে এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলা হয়েছে। নিজেকে যদি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখতে পারতাম, তাহলে হয়তো আরেকটু ভালো ফল আসতো। আমি সব সময় চেষ্টা করি, পাওয়ার হিটিং বা বড় বড় রান করে প্রিমিয়ার লিগটায় ভালো করার। এ বছর থেকে চেষ্টা থাকবে নিজেকে এভাবে তৈরি করার।’
আরও পড়ুন: কোচ হিসেবে বিপিএলে তেতো অভিজ্ঞতা খালেদ মাহমুদের
টেস্ট ক্রিকেটে সাদমানের অভিষেকটা হয়েছিল ২০১৮ সালে। পারফরম্যান্সও খুব একটা খারাপ নয়। তবে, কখনোই ওয়ানডে দলে ডাক আসেনি এই বাঁ হাতি ব্যাটারের। কিন্ত কেন? উত্তরটা জানা নেই সাদমানেরও।
তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার পরে ‘এ’ দল বা কোথাও ওয়ানডে খেলার সুযোগটা আসেনি। যার মাধ্যমে আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। প্রিমিয়ার লিগটাও আমি নিয়মিত খেলতে পারি না।’
আরও পড়ুন: সিলেটের টানা তৃতীয় হার; হৃদয়-মায়ার্স ঝড়ে বরিশালের বড় জয়
সাদমানের মতো বিপিএল খেলা হচ্ছে না সাবেক ক্যাপ্টেন মুমিনুল হকেরও। তবে, তাইজুল-জয়রা দল পেলেও নিয়মিত জায়গা পান না একাদশে। টেস্ট ফরম্যাটের ক্রিকেটার হওয়াটাই কি অপরাধ তাদের কাছে?
]]>