রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট কলেজ মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-০২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আশিফা আশরাফি পাপিয়া ভোলাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন।
এসময় সাবেক এমপি পাপিয়া আরও বলেন, ‘এই মাটিতে আমাদের রক্ত মিশে আছে। তাই এনসিপিকে বলতে চাই, অবিলম্বে আপনাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। আ.লীগ যে পথে গেছে, বিএনপি সেই পথে যাবে, এমন বক্তব্য দেয়ার দুঃসাহস পেলেন কোথা থেকে? আমাদেরকে ভারতের হাসিনার পথ দেখাবেন না। ওই পথে নিজেরা যাবেন, আমরা না। ড. ইউনূস যদি মনে করেন শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফল ২০০৮ সালের নির্বাচন, একইভাবে এনসিপি-জামায়াতের আন্দোলনের ফসল ধরে ২০১৮ মডেলে নির্বাচন করবেন, তাহলে আপনার এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধন হতে পারে না: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপি নেত্রী আশিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, ‘কিছুদিন থেকে দেখা যাচ্ছে, ড. ইউনূস সরকার যে রাজনৈতিক দলটিকে জন্ম দিয়েছে তার নাম এনসিপি। এই সরকার মনে করে জামায়াতে ইসলামীর ওপর ভর করে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন হয়েছে। তারা আমাদের সবসময় ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা যখন বলি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী বিরোধিতা করেছিল, এ কথা বলার সাথে সাথেই তাদের বুদ্ধিজীবী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও টকশতে বলে, আমরা নাকি আ.লীগের সুরে কথা বলছি। বাংলাদেশের ইতিহাস প্রমাণ দেয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় কারা পক্ষে ও কারা বিপক্ষে ছিল। এই স্যতি কথাটি বলতে গেলে, এনসিপিরা বক্তব্য দিচ্ছে, আমরা আ.লীগকে যেভাবে উৎখাত করেছি এদেরকেও সেভাবে উৎখাত করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে এনসিপির আব্দুল্লাহ সারজিসদের বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে জিয়াউর রহমান যে বীজ বপন করেছে, সেই বৃক্ষ আমরা এখন বটবৃক্ষে রুপান্তরিত হয়েছি। বাংলাদেশের মাটি ছাড়তে বলার দুঃসাহস কে দেখিয়েছে? আমরা কি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা? বাংলাদেশের মাটি কামড়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, স্বেরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি, ১৫ বছর হাসিনা বিরোধী আন্দোলন করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাবরণ করেছেন, তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা হয়েছে। প্রাণ গেছে অসংখ্য নেতাকর্মীর।’
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় ফখরুল, গয়েশ্বর ও আব্বাসসহ ৭০ জনকে অব্যাহতি
গণসংযোগ ও পথসভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মতি, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ময়েজ উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সামিরুল ইসলাম পলাশসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা৷