বাদ গেলেন ইসফাক, দ্বিতীয়বার নারী পরিচালক পাচ্ছে বিসিবি

২ দিন আগে
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বিসিবি পরিচালকের মনোনয়ন পাওয়ার একদিনের মাথায়ই পদ হারালেন ইসফাক আহসান।

আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের এই নেতাকে পরিচালক মনোনয়ন দিয়ে বিসিবিকে পাঠানো চিঠি উইথড্র করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিসিবির বোর্ড সভার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির পরিচালক এবং আম্পায়ার্স কমিটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। 

 

ইসফাককে সরিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এনএসসি। তবে সূত্র জানিয়েছে, করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলার মনোনয়ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। আর সেটা হলে দ্বিতীয়বারের মতো নারী পরিচালক পাবে বিসিবি। 

 

আরও পড়ুন: বিসিবির কোন কমিটির দায়িত্বে কে?

 

২০০৭-০৮ পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর বিসিবির প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনোয়ারা আনিস মিনু। তারই উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন এবার রুবাবা। জানা গেছে, বিসিবির নারী উইংয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন রুবাবা। 

 

গতকাল (৬ অক্টোবর) বিসিবি নির্বাচনের পরপরই ক্রিকেট বোর্ডে নারী পরিচালকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন সদ্য নির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ঠিক পরের দিনই গুঞ্জন রুবাবার পরিচালক হওয়ার। এখান থেকেও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন অনেকে। 

 

করপোরেট ব্যক্তিত্ব রুবাবা বর্তমানে ওরাকল বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের মতো টেলিকম খাতের প্রতিষ্ঠানে উচ্চপর্যায়ের পদে কর্মরত ছিলেন। 

 

আরও পড়ুন: রাব্বির ফিফটিতে ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করলো চট্টগ্রাম

 

গ্রামীণফোনে থাকাকালীন তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা এবং প্রধান বিপণন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে (১৯৯৮–২০০৯) পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনেও তার সরব উপস্থিতি ছিল। 

 

২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রুবাবা। 

 

গ্রামীণফোন ছাড়াও খেলাধুলার সঙ্গে রুবাবার সম্পৃক্ততা দীর্ঘদিনের। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিনটন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন