এ সময় স্থানীয় কৃষক, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। ধানের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্য আউশ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়াবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনালী ধানের শীষে ভরে উঠেছে কৃষকের মাঠ। ওজনে নুয়ে পড়া ধানের শীষ কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। উঁচু জমির ধান কাটার কাজ শুরু হলেও নিচু জমির ধান পুরোপুরি পাকতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ধানের শীষ হৃষ্টপুষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা বেশি লাভের প্রত্যাশা করছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ফকিরহাট উপজেলায় ৩৮৭ একর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে ৯০ জন চাষিকে বীজ, সার, কৃষি উপকরণসহ নানা সহায়তা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পার্টনার প্রোগ্রাম, কৃষি প্রণোদনা ও রাজস্ব খাত থেকেও সহায়তা দেয়া হয়। জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ব্রি-১০৬ ও ব্রি-৯৮ জাতের আউশ ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ‘সাদা সোনায়’ মড়ক, উৎপাদন কমায় ক্ষতির মুখে চাষিরা
আট্টাকা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম শেখ জানান, দেড় একর জমিতে আউশ ধান রোপণ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার ও কীটনাশক পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ধান ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করলে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হবে। তবে ইঁদুরের আক্রমণ না হলে লাভ আরও বেশি হতো।’
লখপুর ইউনিয়নের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বোরো ও আমনের মাঝের মৌসুমে জমি ফাঁকা থাকত। কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার আউশ ধান চাষ করে লাভবান হয়েছি। আমার ফসল দেখে অন্য কৃষকরাও চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এবার আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
]]>