গতরাতে (২৭ আগস্ট) তারৌবার ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্সকে ৮ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে হারিয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। আগে ব্যাট করা অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় ত্রিনবাগো।
অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার টপ অর্ডার এদিন ব্যর্থ হয়েছে। জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪০ রান করলেও রাহাকিম কর্নওয়াল ও কারিমা গোর ডাক মারেন। মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ওভারেই দুজনই বিদায় নেন।
আরও পড়ুন: পরিচালক নয়, বোর্ডের দায়িত্বে এলে সভাপতি হয়েই আসতে চান তামিম!
পাঁচে নামা সাকিবের ব্যাটিং ব্যর্থতা দীর্ঘায়িত হয়েছে। ১৪ বলে ১৩ রান করে আকিল হোসেনের বলে বিদায় নেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
মাত্র ৭১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা সম্মানজনক স্কোর পায় ছয় ও আটে নামা অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম ও উসামা মিরের ৬৪ রানের জুটিতে। এটি দলটির ইতিহাসে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ওয়াসিম ২৫ বলে ৫ চারে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। উসামা ২৬ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩৪ রান করেন।
আমির ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। আকিল ও আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নামা ত্রিনবাগো প্রথম উইকেট হারায় সাকিবের ঘূর্ণিতে। ১০বলে ৯ রান করা কলিন মুনরো এই বাঁহাতির বলে ক্যাচ দেন।
তাতে অবশ্য জয় পেতে ত্রিনবাগোকে বেগ পেতে হয়নি। আলেক্স হেলস আর কেসি কার্টির জুটিতে ৮৭ রান যোগ করে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে ত্রিনবাগো। কার্টি ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৬০ রান করে সিলসের বলে বোল্ড হন। হেলস আর অধিনায়ক নিকোলাস পুরান মিলে বাকি কাজটুকু সারেন।
আরও পড়ুন: ‘বাবরের স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনা করা হারিসকে লাঠিপেটা করা উচিত’
৪৬ বলে ৬ চারে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন হেলস। পুরান ১১ বলে ২ ছয়ে ২৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন।
সাকিব ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন। সিলস ৩.৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে বাকি উইকেটটি নেন।
এই হারের পরও ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা। বাকিদের চেয়ে অবশ্য তারা ম্যাচ খেলেছে অনেক বেশি। ৩ ম্যাচ কম খেলেই ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ত্রিনবাগো।