শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক শোক বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
শোক বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন যে, লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ফরিদা পারভীন এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ওই শোক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের ইহধাম ত্যাগে সংগীতজগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন বাউল গানের মূর্ছনায় সংগীতপ্রিয় মানুষদের আপ্লুত করেছেন। তাঁর কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো সংগীতপ্রিয় মানুষদের দীর্ঘকাল মুগ্ধ করবে। লালনগীতি ছাড়াও শিল্পী জীবনে প্রয়াত ফরিদা পারভীন নানামাত্রিক গান গেয়ে অগণিত মানুষের ভালবাসা লাভ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে লোকসংগীত ও সংস্কৃতির ভুবনে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো।
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোকবার্তায় ফরিদা পারভীনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম হয় ফরিদা পারভীনের। গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।
ফরিদা পারভীনের বেড়ে ওঠাটা একেবারে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রামে নয়। কারণ, তাঁর বাবা মেডিকেলে চাকরি করতেন আর তাঁর চাকরির বদলির সুবাদে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ফরিদাকেও বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। এ কারণে ফরিদার বেড়ে ওঠায় বিভিন্ন জায়গার ছাপ পড়েছে। ফরিদা পারভীনের স্কুলজীবন কেটেছে বিভিন্ন শহরে। তবে তাঁর স্কুলজীবনের শুরুটা মাগুরায়। একাধিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে তিনি কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন।