মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার, তার ২য় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ছেলে সুজন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর কবির তালুকদার তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগম এবং এলাচী বেগমের প্রথম পক্ষের ছেলে সুজনকে নিয়ে কৌশলে কবির তালুকদারের প্রথম স্ত্রী মহিমাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরে ফেলেন দুর্ঘটনা বলে প্রচার করেন। এ ঘটনায় মহিমার ছেলে হেলাল তালুকদার বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় কবির তালুকদার, এলাচী বেগম এবং সুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলার রায়ে আদালত তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের সাবেক নাজির কারাগারে
এ বিষয়ে মামলার বাদী হেলাল তালুকদার বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার শ্বশুর অসুস্থ বলে তাকে দেখতে যেতে বলেন আমার বাবা কবির তালুকদার। পরে আমার ছোট ভাইসহ আমি সেখানে গেলে খবর পাই বৈদ্যুতিক শক লেগে আমার মা মারা গেছেন। তবে বাড়িতে গিয়ে শুনতে পাই মাকে বৈদ্যুতির শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় মামলা করলে আদালত আমার বাবাসহ তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মায়ের হত্যায় জড়িত আমার বাবার ফাঁসির আদেশ হলেও সঠিক বিচার হওয়ায় আমি খুশি। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, ছেলে হয়ে আর কারো যেনো কখনো কোনো বাবার বিরুদ্ধে যেতে না হয়।’
আরও পড়ুন: বরগুনায় বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেফতার ৩
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, ‘ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আদালতে বিভিন্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ে আদালতের প্রতি আমি সন্তুষ্ট।’