গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহরে ইসরাইলি বাধার প্রতিবাদে ইতালিতে বিক্ষোভ হয়েছে। নৌযান থেকে যাত্রীদের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ায় ইতালির রাজধানী রোমসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নামেন হাজারো মানুষ। এসময় যান চলাচল বন্ধ করে আটকদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নৌবহরে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে স্পেনেও। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) রাজধানী মাদ্রিদে জড়ো হন শত শত শিক্ষার্থী। নৌবহর থেকে আটকের ঘটনায় ইউরোপের দেশগুলো কার্যকর প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। এ ঘটনায় দেশটিতে নিযুক্ত ইসরাইলি কূটনীতিককে তলব করেছে স্পেন সরকার।
ফ্লোটিলায় ইসরাইলি নৌবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে আর্জেন্টিনায়ও বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানীর রাজপথে নামেন হাজারো মানুষ। নেতানিয়াহু বাহিনীর এ পদক্ষেপকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে ফ্লোটিলা থেকে আটকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এদিন ঘেরাও করা হয় দেশটিতে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসও।
আরও পড়ুন: আটক না হওয়া গাজামুখী শেষ নৌযানটি কোথায়, জানা গেল
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হন হাজারো মানুষ। ইসরাইল-বিরোধী নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। আটকদের মুক্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের আঙ্কারা আর ইস্তাম্বুলেও বিক্ষোভ হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলের ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে তেল আবিবের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে কঠোর অবস্থান নেয়ারও আহ্বান জানান বিক্ষুব্ধরা।
ফ্লোটিলার বেশিরভাগ নৌযানে ইসরাইলের বাধা দেয়া ও শত শত যাত্রী আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে গ্রিস, ফ্রান্স, তিউনিশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।
]]>