শহর ঘুরে দেখা যায়, টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, একাডেমি, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠান বাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন মজুমদার জানান, বন্যা বাধের জংগলঘোনায় দুটি স্থান, গদানগরে, দেড়পাড়া, সাহেবনগরসহ পাঁচটি স্থান ভেঙেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনী ও কুমিল্লায় বন্যার প্রবল শঙ্কা
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৭টি টিম কাজ শুরু করেছে।
]]>