ফিফা বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের যত চ্যালেঞ্জ

৩ সপ্তাহ আগে
শুরুর সমালোচনা পেছনে ফেলে সফলভাবেই ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করলো যুক্তরাষ্ট্র। আগামী বছরের ফিফা বিশ্বকাপেরও মূল আয়োজক তারা। দেশটিতে 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের' খেলা হবে ১১টি শহরে। ভেন্যুগুলো এরইমধ্যে প্রশংসা কুড়ালেও, বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের। জুন-জুলাইয়ের অতিরিক্ত গরম আর যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে মার্কিনদের।

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ করেছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি যা বড় পরীক্ষা ছিলো হোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও। ৩২ দলের মেগা ইভেন্ট আয়োজন করে বিরাট এক লাভ হয়েছে মার্কিন নীতি নির্ধারকদের। আগামী বছর ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম হোস্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। ৩২ বছর পর 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' আয়োজনে যে অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই কাজে লাগাতে চাইবে তারা।


এর আগে একবারই ফুটবল বিশ্বকাপ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯৪'এ একক আয়োজক ছিলো তারা। তবে, ২৩তম আসরটি হবে ইউএসএ, কানাডা ও মেক্সিকোতে। ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই নর্থ আমেরিকার ৩ দেশের ১৬টি শহরে হবে সব ম্যাচ।


নর্থ আমেরিকায় ইতিহাস হয়ে থাকবে বিশ্ব আসর। প্রথমবারের মতো ৩ দেশে হবে বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো হবে ৪৮ দল নিয়ে। মেইন হোস্ট হওয়ায় মার্কিনদের চ্যালেঞ্জটা তাই বেশি।


আরও পড়ুন: ক্লাব বিশ্বকাপের আসল ট্রফি ট্রাম্পের অফিসে, চেলসি পাচ্ছে রেপ্লিকা 


যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু নিয়ে সমালোচনা হলেও, ২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অবকাঠামো নিয়ে চিন্তার কিছু থাকার কথা নয়। ২০২২ কোপা আমেরিকা আর এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে ভেন্যু ম্যানেজমেন্টে গুছিয়ে উঠেছে ইউএসএ। আগামী বছর দেশটির নিউইয়র্কের মেটলাইফ, লস অ্যাঞ্জেলেসের সোফি, ডালাসের এটিঅ্যান্ডটি, সান ফ্র্যান্সিস্কোর লিভাইস, মায়ামির হার্ডরক, আটলান্টার মার্সিডিস বেঞ্জ, সিয়াটলের লুমেন ফিল্ড, হাউস্টনের এনআরজি, ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ড, কানসাস সিটির অ্যারোহেড ও বস্টনের জিলেট স্টেডিয়াম—এই ১১টি ভেন্যুতে হবে খেলা।


ক্লাব বিশ্বকাপে শুরুর দিকে বেশ কিছু ম্যাচে দর্শক সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক সমালোচনা হয়েছিলো। কিন্তু, শেষদিকে বিশেষ করে বিগ টিমের ম্যাচগুলোতে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির গেমে ৬০ হাজার ও বায়ার্ন মিউনিখের গেমে গড়ে ৪০ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়েছে। ফিফা বিশ্বকাপেও যা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।


ধীরে ধীরে ফুটবলের নতুন মার্কেট তৈরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। ফুটবল বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের পথে ২০২৬ বিশ্বকাপ তাদের জন্য হতে বড় মাইলফলক। তাই বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখন থেকেই মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে লোকাল ট্র্যান্সপোর্ট ও শহর থেকে শহরে যাতায়াত ব্যবস্থা আরও মসৃণ করতে বলছেন তারা। পাশাপাশি বিশ্বকাপ যে সময়টায় হবে অর্থাৎ জুন-জুলাইয়ের অত্যধিক গরমের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন