বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে সিকদার লিটনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামুনুর রশিদ বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে কোতায়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আমরা তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
আরও পড়ুন: হাতবদল হওয়ায় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়নি: র্যাব
সিকদার লিটন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুল এর পিএস ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন এমপির ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন সিকদার লিটন। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে একাধিক হত্যা, হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। এছাড়া ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে করা বিস্ফোরক ও নাশকতা মামলার এজাহারনামীয় আসামি সিকদার লিটন।
২০২০ সালে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সিকদার লিটনকে ভাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী সহ বিভিন্ন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে মামলা বাণিজ্য শুরু করে সিকদার লিটন। সিকদার লিটন জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিক সিকদারের ছেলে।