সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ স্বাক্ষরিত এনবিআরের পাঠানো ওই চিঠি থেকে জানা যায়, এন্ড্রু কিশোরের বকেয়া করের পরিমাণ ৭২ হাজার ৮০৩ টাকা।
কর অঞ্চল–১২ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৫–০৬ অর্থবছরে এন্ড্রু কিশোরের বকেয়া করের পরিমাণ ২২ হাজার ৪২৩ টাকা এবং ২০১২–১৩ অর্থবছরে এন্ড্রু কিশোরের বকেয়া করের পরিমাণ ৫০ হাজার ৩৮০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদের সঙ্গে কথা হলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন,
বকেয়া আদায়ের জন্য চিঠি পাঠানো আমাদের নিয়মিত কাজ। তাছাড়া আমাদের অফিশিয়াল রেকর্ডে তিনি যে মৃত তার উল্লেখ নেই।
কাজী রেহমান সাজিদ আরও বলেন,
আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির নামে থাকা সম্পদ বা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুধু করযোগ্য আয় থাকলেই রিটার্ন দিয়ে কর দিতে হয়। করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন দিতে হয় না। যত দিন পর্যন্ত ওই সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের নামে ভাগ-বাঁটোয়ারা না হবে, তত দিন মনোনীত প্রতিনিধি ওই মৃত করদাতার পক্ষে কর দিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: বাড়ির পথে শেষ যাত্রা ফরিদা পারভীনের
সবশেষে তিনি বলেন,
আইন অনুসারে এন্ড্রু কিশোরের কাছে পাওনার দায়ভার তার উত্তরাধিকার যারা আছেন, তাদের ওপর বর্তাবে। তাছাড়া সংগীতশিল্পীর উত্তরাধিকারদের কেউ আমাদের লিখিতভাবে জানাননি, তার বকেয়া কে বা কারা পরিশোধ করবেন। তাই এনবিআরের অফিশিয়াল চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন শাবানার ছেলে, পাত্রী কে?
প্রসঙ্গত, বাংলা গানের জগতে ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। আধুনিক ও চলচ্চিত্রজগতে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন। দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ৬৪ বছর বয়সে মারা যান গুণী এ সংগীতশিল্পী।
]]>