প্রি-ডায়াবেটিক রোগীর জরুরী ৫ পরামর্শ

১ সপ্তাহে আগে
প্রি-ডায়াবেটিক রোগী হলেন এমন ব্যক্তি যার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, কিন্তু এখনও টাইপ ২ ডায়াবেটিস হিসেবে নির্ণয় করার মতো যথেষ্ট নয়। প্রি-ডায়াবেটিস একটি সতর্কতামূলক অবস্থা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন না করলে এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসে পরিণত হতে পারে। এই অবস্থায় সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

প্রি-ডায়াবেটিক রোগীর জন্য জরুরী ৫ পরামর্শ দিয়েছেন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ মারজোয়া হুমায়রা মেখলা 


১️. তরল ক্যালরি সম্পূর্ণ বন্ধ করুন: চিনি মেশানো পানীয় (সফট ড্রিংক, জুস ইত্যাদি) রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বাড়ায়। শুধু পানি, ব্ল্যাক কফি আর চিনি ছাড়া চা পান করুন।

 

২. হাঁটুন: প্রতিবার খাবারের পর ১০–১৫ মিনিট হাঁটুন। খাবারের পর অল্প হাঁটলে রক্তে চিনি ৩০–৪০% পর্যন্ত কমে। পেশি তখন রক্ত থেকে চিনি টেনে নেয়— ফলে কোষের ক্ষতি কমে।

 

আরও পড়ুন: অ্যানকিলোসিং স্পন্ডিলাইটিস রোগ সম্পর্কে কতটা জানেন?


৩️. প্রোটিন: প্রতিটি খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন (কমপক্ষে ৪০ গ্রাম) প্রোটিন রক্তে গ্লুকোজ ধীরে শোষিত হতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। এতে রক্তে শর্করার ওঠানামা কমে ও ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে।


 

৪. ইনসুলিন টেস্ট: শুধু গ্লুকোজ নয়, ফাস্টিং ইনসুলিন টেস্ট করান। ফাস্টিং ইনসুলিন দেখায় অগ্ন্যাশয় কতটা পরিশ্রম করছে। যদি মান ৫–৭ µIU/mL এর বেশি হয়, তাহলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স শুরু হয়ে গেছে। যদি গ্লুকোজ স্বাভাবিক দেখায় তবুও।

 

আরও পড়ুন: সকালে নাগরমোথা খেলেই ২০ সমস্যার সমাধান!


৫. ঘুমের আগে খাওয়া: ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া বন্ধ করুন। কারণ, রাতে খেলে ইনসুলিন উচ্চ থাকে, শরীর তখন ফ্যাট বার্ন করতে পারে না— বরং জমায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন