মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টাউনক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহত কৃষক মো. আব্দুস সাত্তারের মেয়ে রাশিদা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশিদা খাতুন বলেন, ‘গত বছরের ২০ নভেম্বর গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বেগপুরে জমিতে কৃষি কাজ করছিলেন আমার বাবা মো.আব্দুল সাত্তার ও আত্মীয় মো. তোবজুল ইসলাম। এ সময় আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে যায় একটি প্রভাবশালী মহল। এ সময় বাধা দিতে গেলে শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার বাবা ও তোবজুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করেন।’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা চেয়ে ডিবি কার্যালয়ে মুশতাক-তিশা (ভিডিও)
তিনি আরও বলেন, ‘২৩ নভেম্বর ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। পরে সাত আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচ আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এমনকি মামলা প্রত্যাহার না করলে নিহত দুই ব্যক্তির মতো আমাদেরও পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন।’
রাশিদা বলেন, ‘এমন অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গোমস্তাপুর থানায় গত ৪ জানুয়ারি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোনো সময় আমাদের ওপর হামলা হতে পারে। এখনো হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে কঠোর বিচার দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: শেরপুরে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল করিম বলেন, ‘এই হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়েছেন ২৩ জন। বাদীকে হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
]]>