পানি কমলেও ভাঙন থামছে না, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি

৩ দিন আগে
বর্ষা মৌসুম শেষে পানি কমতে থাকলেও ভাঙন শুরু হয়েছে গাইবান্ধার তিস্তা, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকায়। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে তিন উপজেলার একশ বিঘার বেশি ফসলি জমি, অর্ধশত বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা। শিগগিরই ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে এরই মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর, পূর্ব কঞ্চিপাড়া, কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়া, কালাসোনা, জোড়াবাড়ি, গজারিয়া ও সদর উপজেলার মোল্লারচর, তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাশিয়া, লালচামার, কারেন্টবাজারসহ গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদীর বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ হাজারো বাড়িঘর।

 

প্রতিদিনই এই এলাকার একরের পর একর ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙন কবলিত মানুষদের একমাত্র আয়ের উৎস ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় তারা নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। ভাঙন মোকাবেলায় বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কার্যকর সমাধান হচ্ছে না।

 

আরও পড়ুন: বাস্তুচ্যুতদের ঠাঁই নগরে, ভাঙতে পারছেন না দরিদ্রতার বলয়

 

বাধ্য হয়ে সরকারের নজরে আনতে বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করছে নদীপাড়ের মানুষ। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। রতনপুর গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।’

 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানান, ‘বিভিন্ন স্থানে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভাঙনপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

 

উল্লেখ্য, প্রায় এক মাস ধরে জেলার তিন উপজেলার তিস্তা, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদীর কমপক্ষে ২০টি এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এই এলাকার হাজারো পরিবারের বসতভিটা বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন