পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাবে ভারত

এক দশকের বেশি সময় ধরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে না ভারত-পাকিস্তান। তবে এসিসি বা আইসিসি আয়োজিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে প্রায়ই মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল। তবে রোববারের (১৪ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপের এনকাউন্টার অতীতের যেকোনো লড়াইয়ের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পর সৃষ্ট সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও কঠিন করে তুলেছে এবং এই প্রেক্ষাপটে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—ভারত ও পাকিস্তান কি বহুদলীয় টুর্নামেন্টে এখনও একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে?

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের জন্য ভারতজুড়ে চাপ থাকার পরও দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। যে কারণে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও খেলোয়াড়দের সমালোচনাও করছেন অনেকেই। এনডিটিভির দুবাই সূত্র অনুযায়ী, এই 'বয়কট বিতর্ক' ভারতীয় ড্রেসিংরুমেও ঢুকে পড়েছে, যেখানে ক্যাম্পের পরিবেশকে বলা হচ্ছে কিছুটা ‘গম্ভীর’।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় মাঠে স্লোগান বা অতিরিক্ত প্রতিবাদের সম্ভাবনা নেই, তবে প্রতীকী প্রতিবাদের দৃশ্য ম্যাচ চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে দেখা যেতে পারে।

এই প্রতীকী প্রতিবাদ হতে পারে হাত মেলানো এড়ানো, কালো আর্মব্যান্ড পরা কিংবা অন্য কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: পাঁড় ক্রিকেট ভক্তও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের চেনে না

ক্রিকেটপ্রেমীদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা অবগত। তাই বোর্ড ও খেলোয়াড়রা হয়তো এশিয়া কাপের এই ম্যাচটিকে গোটা বিশ্বের সামনে বার্তা দেওয়ার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে—ভারতের প্রতিটি মানুষের পাকিস্তানকে ঘিরে আবেগের প্রতিফলন হিসেবে।

ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডোস্কাটে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন যে পুরো ক্যাম্পই জনমতের ব্যাপারে সচেতন।

আরও পড়ুন: কোহলি না থাকায় পাকিস্তানের বোলাররা স্বস্তিতে: গাভাস্কার

তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই আবেগ আর তীব্র অনুভূতিগুলো সম্পর্কে জানি। আর গৌতি (গম্ভীরের ডাকনাম) বারবার খুব পেশাদারভাবেই বলেছেন—যে বিষয়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।'

'আমার কোনো সন্দেহ নেই যে খেলোয়াড়রা ভারতের জনগণের বিপুল অংশের সহমর্মিতা ও অনুভূতিগুলো ভাগ করে নিচ্ছে,'–তিনি যোগ করেন। 

]]>