পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ভাঙার ঘোষণা ইরানের

৩ দিন আগে
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে হওয়া কায়রো চুক্তি ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তার দাবি, স্ন্যাপব্যাক কার্যকরের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন একটি কাঠামোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায়, আলোচনা ও ন্যায়সঙ্গত সমঝোতাই ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ক দ্বন্দ্ব সমাধানের একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জাতিসংঘ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশটি নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে। যদিও, নিজেদের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না পেজেশকিয়ান প্রশাসন। 

 

উল্টো, পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে পরিকল্পনা ও কূটনৈতিক কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। 

 

তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করার একমাত্র পথ আলোচনা। ন্যায়সঙ্গত সব শর্ত মেনে চুক্তি করতে ইরানের আপত্তি নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও জানান, পূর্বে পশ্চিমাদের অযৌক্তিক এবং অন্যায় আবদারের কারণেই চুক্তিতে রাজি হয়নি ইরান। 

 

আরও পড়ুন: ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের

 

তবে আলোচনার টেবিলে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তেহরান। দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, স্ন্যাপব্যাকের প্রস্তাব উত্থাপন করে ইরানের অবস্থান ও ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে দেশ তিনটি। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার পরও এমন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার যৌক্তিকতা হারিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। 

 

এ অবস্থায়, ভবিষ্যতে সংলাপের মাধ্যমে যেকোনো সমাধানে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ইউরোপের ভূমিকা অনেকটাই কমে যাবে তবে জানান আরাঘচি।

 

একইদিন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে হওয়া কায়রো চুক্তি ভাঙার ঘোষণা দেন তিনি। বলেন, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন একটি কাঠামোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে কূটনৈতিক পর্যায়ে যেকোনো আলোচনার জন্য তৈরি থাকলেও তার কাঠামোর সঙ্গে আগের কোনো মিল থাকবে না বলে জানান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন