রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নড়াইলের কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কার সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় পোস্ট করা হয়। জেলা বিএনপির নেতৃস্থানীয় একাধিক নেতা মুঠোফোনে সময় সংবাদকে চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশের আর এক চিঠি কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারী, দোকান লুট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। দলের গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী প্রথমিক সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কলেজ শাখার ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার
বহিষ্কারাদেশের চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু এবং নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর।
এ বিষয়ে কালিয়া পৌর বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ মুঠোফোনে সময় সংবাদকে বলেন, ‘চিঠিটি ফেসবুকে দেখেছি। আমরা জেলা বিএনপির সভাপতির বিপক্ষ গ্রুপ করি। তিনি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্য দিয়ে ও টাকার প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্রের নেতাদের ভুল বুঝিয়ে এমন আদেশ করিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অচিরেই এর খোলশা হবে।’
আরও পড়ুন: সব পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হলেন ঢাবি ছাত্রদলের ৭ নেতা
এর আগে গত মাসের ৫ তারিখ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়া এলাকার আকিজ শেখের স্ত্রী রহিমা খানম থানায় কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।