ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর জনগণকে ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নেয়ার আহ্বান

১ সপ্তাহে আগে
ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সুইডিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল জনসন।

রোববার প্রকাশিত রেডাকশনসনেটজওয়ার্ক ডয়চল্যান্ড (আরএনডি) র সাথে  এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন জনসন। 


ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যাপক সামরিকীকরণ অভিযান ত্বরান্বিত করার মধ্যে জনসনের এই মন্তব্য এলো।

 

আরও পড়ুন:ইইউ বা ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোতে আক্রমণ করার কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই: ল্যাভরভ


প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাসেলস রাশিয়াকে আসন্ন হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে, কিন্তু মস্কো এই ‘ন্যারেটিভকে’ ইউরোপের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক বিভ্রান্তি বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

 

জনসন জানান, ‘শান্তি রক্ষা করার জন্য, আমাদের যুদ্ধের সম্ভাবনার জন্য মানসিক এবং সামরিক উভয়ভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তনও প্রয়োজন। শান্তি স্থাপন, প্রতিরক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য আমাদের যুদ্ধের মুডে যেতে হবে।’

 

এদিকে, ইউরোপীয় সদস্যদের আরও মার্কিন অস্ত্র কেনার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা  ইউক্রেনের কাজে লাগবে। জনসন এই ধরনের ক্রয়ের ন্যায্যতা প্রমাণ করে বলেন, ইউরোপের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই বা এখনও উৎপাদন করতে পারছে না। এছাড়া ইউক্রেনের এই সম্পদের দ্রুত প্রয়োজন। যদি ইউরোপের কাছে এগুলোর অভাব থাকে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগুলো সংগ্রহ করা যুক্তিসঙ্গত।

 

অন্যদিকে, ইউরোপীয় কমিশন গত সপ্তাহে একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে যেখানে ২০২৭ সালের মধ্যে যৌথ অস্ত্র ক্রয় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। নথিতে ‘আরও বিনিয়োগ’, ‘একসাথে বিনিয়োগ’ এবং ‘ইউরোপীয় বিনিয়োগ’ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন:ইউক্রেনকে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, পুতিনের হুঁশিয়ারি


প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কো ইউক্রেন সংঘাতকে ন্যাটোর একটি প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে দেখে যার লক্ষ্য কয়েক দশক ধরে সম্প্রসারণের পর রাশিয়ার নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করা। 

 

সূত্র: আরটি

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন