দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোক র্যালি, সমাবেশ এবং বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোক র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
র্যালি শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. শিবলুর রহমান।
সমাবেশে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। চব্বিশের আন্দোলন সফল না হলে আমরা আজকের এ নতুন বাংলাদেশ পেতাম না।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের পথ চলতে হবে। আমরা পুরো দেশ হয়তো বদলাতে পারবো না, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত পরিবর্তন আনতে পারি, সেই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে জুলাই শহীদ দিবসের কর্মসূচি শুরু
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, আবু সাঈদ ও মুগ্ধসহ আন্দোলনকারীদের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। প্রতিটি হত্যার বিচার চাই। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিচার না হওয়া আমাদের জন্য লজ্জার।
তিনি আরও বলেন, মেধাবীদের আত্মত্যাগের প্রকৃত সম্মান তখনই দেওয়া হবে, যখন একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া যাবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- ফলিত গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল করিম, শাখা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলার সদস্যসচিব বনি ইয়ামিন, শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম ও ময়ুরী খাতুন। সবাই তাদের বক্তব্যে শহীদদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।