খুলনায় ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম, বাড়তি মাছের বাজারও

১১ ঘন্টা আগে
মা ইলিশ রক্ষায় সমুদ্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে খুলনার মাছ বাজারে সামুদ্রিক মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে দেশি ও চাষের মাছের সরবরাহ বাড়লে এসব মাছের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে সবজির বাজারেও ঊর্ধ্বমুখী দামের প্রবণতা দেখা গেছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে রূপসা মাছ বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ নেই। সামুদ্রিক অন্যান্য মাছও খুবই সীমিত পরিমাণে এসেছে। তবে দেশি ও চাষের মাছের সরবরাহ রয়েছে বেশি। এর মধ্যে তেলাপিয়া, পাঙাশ, রুই, কই, কাতল ও চিংড়ির বেশি দেখা মিলেছে।

 

বাজারে আকারভেদে তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৩০ টাকা বেশি। রুই মাছের দাম কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা, যা সপ্তাহ ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়েছে। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি, কই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি এবং চিংড়ির বাজার সবচেয়ে চড়া। ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি, মাঝারি থেকে বড় আকারের চিংড়ি ১০০০ টাকা কেজি দরে। ভেটকি মাছও বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে।

 

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ নেই, যেসব মাছ আছে তার দামও অত্যধিক। রূপসা মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসা গৃহিণী শামছুন নাহার জানান, বাজারে সামুদ্রিক মাছের দেখাই পেলাম না। যেসব মাছ আছে সেগুলোর দাম এত বেশি হওয়ার কথা না। রুই মাছ কিনেছি বাড়তি দাম দিয়ে।’

 

ইচ্ছেমতো দাম নেয়ার অভিযোগ আরেক ক্রেতা চাকরিজীবী রফিকুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘কম দামি মাছ বলে বাজারে আর কিছুই নেই। পাঙাশ মাছের কেজিও ২০০ টাকা, কি খাবে মানুষ? ৪০০ টাকা দিয়ে ‍আধা কেজি চিংড়ি মাছ কিনতে পেরেছি, তাও খুব ভালো মানের নয়। বিক্রেতারা খেয়ালখুশি মতো দাম রাখছে।’

 

আরও পড়ুন: সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা!

 

তবে বিক্রেতারা বলছেন, সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, ‘চাষের মাছের সরবরাহ থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। এ কারণে দাম বাড়তি।’

 

এদিকে সবজির বাজারেও দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিক্রেতাদের দাবি, বৈরী আবহাওয়ায় সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

 

বাজারে কিছুতেই কমছে না বেগুনের দাম। কেজি প্রতি গত সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতি কেজি ঝিঙে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা ও বরবটি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

তবে আমদানি বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল কাঁচা মরিচের দাম। কিন্তু শুক্রবার কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। খুলনার বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন