শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে শুক্রবার রাতে তার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় কয়েকজন।
পুলিশ ও জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরের বড় কাইলাটি গ্রামের মো. আলী ওসমানের ছেলে আলমগীর পাশের গ্রামের রনি (২০) ও তরিকুলের (১৯) কাছে ৪ হাজার টাকা পেতেন। এ নিয়ে আলমগীর একাধিকবার তাদের কাছে পাওনা টাকা চাইলে তারা টাকা না দিয়ে আলমগীরকে ঘোরাতে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পাওনাদার আলমগীর মিয়া রনি ও তরিকুলকে তার দোকানের সামনে পেয়ে আটকিয়ে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: ধনু নদীতে স্পিডবোট ডুবে ৪ জন নিখোঁজ
এর জেরে পরদিন গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রনি ও তরিকুলসহ আরও ১০/১২ জন লোক রুবেল ও রনির নেতৃত্বে প্রথমে রাস্তায় আলমগীরকে মারধর করে। পরবর্তীতে আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে আলমগীরের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ঘর থেকে বের হয়ে আসে। এসময় হামলাকারীরা জাহাঙ্গীরকে মারধর করে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়।
এরপর প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় স্বজনরা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীরকে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহে পাঠান। জাহাঙ্গীর শনিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।