নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকার পরও কেন ডাকসুতে নারীদের অংশগ্রহণ এত কম?

১ সপ্তাহে আগে
অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনের মতো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরব অংশগ্রহণ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের। অভ্যুত্থানের এক বছর পর হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ ছয় বছর পর হতে যাওয়া এই নির্বাচনে বেড়েছে নারী ভোটার ও প্রার্থী। তবে পুরুষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এখনও কাঁধে কাঁধ মেলাতে পারেননি নারীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। যা মোট ভোটারের ৪৭.৫২ শতাংশ।

 

ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে পাঁচজন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে লড়ছেন চারজন নারী প্রার্থী। ২৮টি পদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ও ছাত্র পরিবহন পদে নেই কোনো নারী শিক্ষার্থী।

 

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে মোট মোট প্রার্থী ৪৭১ জন। এদের মধ্যে মোট নারী প্রার্থী ৬২ জন। মোট প্রার্থীর অনুপাতে ১৩.১৬ শতাংশ। প্রশ্ন জাগে, নারী নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকার পরও কেন এই অনাগ্রহ?

 

আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা ছাত্রদল প্যানেলের

 

অভিযোগ রয়েছে, অনলাইন কিংবা অফলাইন- হরহামেশাই নারীদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। সাইবার বুলিংয়ে অনেকেই গুটিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেলে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তাকে নামসর্বস্ব হিসেবেই দেখছেন অনেকে। স্রোতের প্রতিকূলে লড়াই করা এই নারীদের বিশ্বাস- একদিন পাল্টাবে পরিস্থিতি।

 

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, নারীদের হেনস্তার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে গেলে, তারাও কোনো ধরনের শেল্টার দিতে পারছেন না। নারীদের নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা থাকে না। এখন ডাকসুর ডামাডোলে সবাই এখন নারীবান্ধব সাজার চেষ্টা করছে।

 

তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এবার ৮ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন প্রায় ৪০ হাজার  শিক্ষার্থী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন