রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার নাসের মাতুব্বর পাড়ার (৫ নম্বর ওয়ার্ড) আকবর শেখের ছেলে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব সময় সংবাদকে বলেন, নুরাল পাগলের মরদেহ পোড়ানোর সময় তেল ছিটিয়ে আগুনের শিখা বাড়ায় নজরুল ইসলাম নজির। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হই।
তিনি বলেন, নুরাল পাগলের দরবারে হামলায় ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার বাবা আজাদ মোল্লা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি ও জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে নজরুল ইসলাম নজিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নজিরসহ এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। মামলার অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশদাতা গ্রেফতার
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) জুম্মার নামাজের পর ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে আগুন দেয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়। হামলায় নিহত হয় নুরাল পাগলের ভক্ত রাসেল মোল্লা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় দুটি গাড়ি। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে নুরাল পাগলের মরদেহটি কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
]]>