নির্মাণের ৩ বছরেও চালু হয়নি মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল

৩ সপ্তাহ আগে
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে নির্মাণের ৩ বছরেও চালু হয়নি মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস। অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটির ভবন গুলো। এরইমধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক গুলো ভবনের কক্ষ। সরকারি সম্পদ রক্ষায় দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি চালুর দাবি এলাকাবাসীর।

জানা যায়, ২০২১ সালে বান্দরবান সদর উপজেলার রেইচা এলাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস্ নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

 

পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়নে ৩ একর জায়গার উপর নির্মিত প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে স্টাফ কোয়াটার, শিক্ষক ডরমেটরী ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থাসহ নানা সুযোগ সুবিধা। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও চলতি বছরের শুরুতে প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে হস্তান্তর করা হয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে।

 

কিন্তু জনবল সঙ্কট ও আসবাবপত্রের অভাবে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এরফলে অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনের ছাদ দেয়ালের রং ও যন্ত্রপাতি।

 

আরও পড়ুন: বান্দরবানে রেড ক্রিসেন্ট কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে ২ সদস্যের পদত্যাগ

 

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে দুর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে নিজ এলাকায় ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ।

 

স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজুর রশীদ বাচ্চু জানান ম্যাটসটি নির্মিত হলেও এখনো কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। আমাদের ছেলে মেয়েরা অনেক আশা নিয়ে আছে নিজ জেলায় কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।

 

আরেক বাসিন্দা এ্যাডভোকেট আবু জাফর জানান ম্যাটস এর বর্তমানে কোনো গুরুত্ব নেই। তার চেয়ে এটাকে একটি মেডিকেল কলেজ হিসেবে চালু করে দিলে অনেক ভাল হবে। সব কিছু যেহেতু আছে শুধু অফিশিয়াল পরিবর্তন করে দিলেই হবে। আমরা চাই সরকারি সম্পদ নষ্ট না করে যথাযথ ব্যবহার করা উচিত।

 

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ এর স্বাস্থ্য বিষয়ক কনভেনার এ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, আমরা এরইমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছি মন্ত্রণালয়ে। এটাকে ম্যাটস অথবা মেডিকেল কলেজ যেটাই হোক যত দ্রুত চালু করার চেষ্টা করছি।

 

আরও পড়ুন: বান্দরবানে পাহাড় কাটার অপরাধে মামলা গ্রেফতার ১

 

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তথ্যমতে ২০২১ সালে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলটি জয়েন্ট ভেঞ্চারে নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং ও  এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন