তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষায় পাস করব। আর যদি ফেল করি আর কোনোদিন পরীক্ষার হলে আসব না। আর আগামীতে সম্মিলিত ইসলামী জোটগুলোর পক্ষ থেকে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে একটি ভোট বাক্স দিতে পারি তাহলে শিয়ালরা এদেশ থেকে পালাতে বাধ্য হবে।’
আগামীতে ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্য সবাইকে কাজ করার অনুরোধ করেন এই নেতা।
শবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট শহরের রেলরোড চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী সীমানা নিয়ে চলমান আন্দোলন ও বাগেরহাটবাসীর দাবির প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব। আপনি যেভাবে ভাগ করেছেন, এই অঞ্চলের জনগণ এইভাবে ভাগ চায় না।আপনি ভাগ করেছেন জনগণের স্বার্থের জন্য, যেখানে জনগণের স্বার্থ বিপন্ন হবে সেই ভাগ কোনোভাবে ঠিক হবে না। কাজেই জনগণ যেইভাবে চায়, সেভাবে ভাগ করতে হবে।’
এ সময় চারটি আসন ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গতানুগতিক ধারায় নির্বাচন হলে আবার ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে: মুফতি রেজাউল করিম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মুফতি মোস্তফা কামাল, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ আতিয়ার রহমান, জেলা জামায়েতের আমির মাও, রেজাউল রকিম, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম সিদ্দিকি, হেফাজত ইসলামের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাবুত, কেন্দ্রীয় যুবনেতা মাওলানা আবু বকর, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি ফকির শহিদুল ইসলাম, মাও. ফারুক হোসাইন, সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি নূরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ ইকবাল, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ এর জেলা সভাপতি মাও. শাহজালাল সিরাজী, শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মাওলানা আবু মুসা গাজী, যুবনেতা মুফতী তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে দলটির অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বাগেরহাটের চারটি আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
প্রার্থীরা হলেন, বাগেরহাট-১ আসনে মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম, বাগেরহাট-২ আসনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ আতিয়ার রহমান, বাগেরহাট-৩ আসনে অধ্যক্ষ শেখ জিলুর রহমান ও চার আসনে মাওলানা ওমর ফারুক নূরী।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ-বিএনপি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ: মুফতি ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলনের এ গণসমাবেশে দলটির বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। দুপুরেই রেল রোড চত্বর নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কানায় কানায় কানায় ভরে যায়। সমাবেশে দলটির নেতাকর্মী ছাড়াও জামায়েতে ইসলামী বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপিসহ সমমনা ইসলামী দলগুলোর জেলা কমিটির শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন।