আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও জানা গেছে, এই পদে পাইলটের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন তিনি। সূত্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ক্যাটাগরি-৩ এর ৪৫টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪২টি। সশরীরে ভোটের সংখ্যা- ৩৭টি এবং ই ভোটের সংখ্যা- ৫টি। সূত্রের দেয়া তথ্যমতে, এই ৪২টি ভোটের ৩৫টি পেয়েছেন পাইলট আর ৭টি দেবব্রত।
এবারের নির্বাচনে কার্যত ক্যাটাগরি-৩ এর এই একটি পদেই নির্বাচন। বাকি দুই ক্যাটাগরির বেশিরভাগ পদে নির্বাচনের আগেই জিতে গেছেন অধিকাংশ প্রার্থী। তবে এই ক্যাটাগরিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করলেও সেটা দেখা যায়নি।
নির্বাচনের ফলাফল মোটামুটি জানাজানি হওয়ার পরই বিকাল ৫টা নাগাদ সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন দেবব্রত। এসময় সরকার এবং দায়িত্বশীলদের দিকে পরোক্ষ ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিসিবি নির্বাচন: পরিচালক পদে জয়ী হলেন যারা
তিনি বলেন, ‘আজকে যেটা করা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ প্রভাবিত একটা নির্বাচন। যা শুধুমাত্র বাংলাদেশ ক্রিকেটকেই তলানিতে নেয়ার ইঙ্গিত বহন করে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যে জায়গায় পৌঁছেছে, যাদের হাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব যাচ্ছে, আপনারা সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবস্থান কোথায়। বিরোধী মতের কাউকেই তারা রাখতে চাচ্ছে না, আজকের এই নির্বাচনে এটিই প্রতীয়মান হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেন সাবেক ক্রিকেটার কারা এসেছে। আমাদের একজন ক্রিকেটার কিন্তু একটা ফিক্সিংয়ের কথা বলেছিলেন, নির্বাচন ফিক্সিং। এই নির্বাচন শুধুমাত্র ফিক্সিংই নয়, এর ভেতরে আরও গভীর কিছু রয়েছে। এটার অনুসন্ধান করাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনি যদি দেখেন ক্রিকেটার হিসেবে কারা এসেছে, আমরা চাই ১৫ জন কাউন্সিলর কারা হবেন; দেশবরেণ্য ক্রিকেটার। যারা কাউন্সিলর হয়েছেন তারা অবশ্যই জাতীয় খেলোয়াড়, তাদের প্রতি অবশ্যই সম্মান রয়েছে। যাদের নামে আইসিসি থেকেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এসেছে, তাদেরকেও কাউন্সিলর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মারা গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম বিশ্বকাপ জেতা তারকা
দেবব্রত পাল আরও বলেন, ‘সে লিস্টটা করা হয়েছে, এটা খুব সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষেত্রে। এনএসসির কাউন্সিলর কারা আপনারাও জানেন। এনএসসির কাউন্সিলরা আজকে সারাদিন নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। তারা ৩টা সোয়া ৩টার দিকে ভোট দিতে এসেছেন। আমরা অনেক কিছুই বুঝি, আপনারাও অনেক কিছু বোঝেন। আপনি যেটা বলেছেন, এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ক্রীড়ার সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ ব্যক্তি জড়িত। তিনি বিভিন্ন সময় মিটিং করছেন, তিনি স্টেটমেন্টও দিচ্ছেন। কাজেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থানটা কোথায়, কোন দিকে যাচ্ছে সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।’
ভোটগ্রহণ চলাকালে দেবব্রত শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘জেলা, বিভাগ এবং ক্লাব, অনেক প্রার্থীই নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এটা আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি মনে করি ক্রিকেট মাঠে শত প্রতিবন্ধকতা স্বত্বেও শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতাম। এখানেও অনেক প্রতিবন্ধকতা স্বত্বেও মাঠে রয়ে গেছি।’
]]>