বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদীর বিহঙ্গ দ্বীপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া সিদ্দিকুর রহমান পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়টেংড়া হাজিরখাল এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে। তার ৯ ও ২ বছরের দুটি মেয়ে রয়েছে। ৭ বছর আগে নদীতে মাছ শিকারে নিখোঁজ হয়েছেন তার বাবা আব্দুল মান্নানও।
বজ্রপাতে সিদ্দিকুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারে নিখোঁজ হন সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে রেললাইন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
সিদ্দিকের স্ত্রী মনিরা আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারে যান সিদ্দিকুর রহমান। ভোর রাতে ফিরে আসার কথা থাকলেও নৌকা ও ট্রলার ঘাটে ফিরে না আসায় চিন্তায় পড়ে যান তারা। এর পরেই বলেশ্বর নদীতে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারাও জেলে সিদ্দিকুর রহমানকে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে ডুবন্ত অবস্থায় তার নৌকাটি পেলেও সিদ্দিকুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বিহঙ্গ দ্বীপের উত্তর পাশে পড়ে থাকতে দেখেন সিদ্দিকুর রহমানের মরদেহ।
তিনি আরও জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সিদ্দিক। তাদের ৯ ও ২ বছরের দুটি মেয়ে রয়েছে এবং ছোট দুজন ভাই রয়েছে। সিদ্দিকের আয়েই তাদের সংসার চলতো।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, বজ্রাঘাতে জেলে সিদ্দিকুরের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর তার শরীরে অসংখ্য ফোসকা পাওয়া গেছে। এটা দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, তিনি বজ্রাঘাতেই মারা গেছেন। এছাড়া ঘটনার সময় পাশে আরও এক জেলে বজ্রাপাতের কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনার হাওড়ে ভেসে উঠল অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলেদের জন্য আমাদের সব সময়ই সহায়তা থাকে। এরইমধ্যে ওই পরিবারকে প্রাথমিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। নিখোঁজের পর থেকে আমরা সব সময়ই খোঁজ রেখেছি। বিয়য়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তাদের মাধ্যমে পরিবারকে আরও সহায়তা করা হবে।
]]>