শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘এটি এমন একটি বিষয় যা আমি পূরণ করতে চাই।’
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেয় না তবুও মামদানি ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জারি করা পরোয়ানাকে সম্মান করবেন এবং বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেবেন।
আরও পড়ুন:ন্যাটো দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান ট্রাম্পের
গ্রেফতারি পরোয়ানায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামদানি আরও বলেন, আমার ইচ্ছা এই শহরটি (নিউইয়র্ক) আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়াবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক ইহুদিদের দ্বিতীয় বৃহত্তম আবাসস্থল এবং তিনি যদি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন, তাহলে তিনি ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারেন।
তাছাড়া, নেতানিয়াহুর গ্রেফতার ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করতে পারে এমনকি বাস্তবে অসম্ভবও হতে পারে। প্রথমত, নেতানিয়াহুর গ্রেফতারের জন্য শহর বা রাজ্য আইন লঙ্ঘন থাকতে হবে, দ্বিতীয়ত এমনকি যদি তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়, তবুও তাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়মুক্তি দেয়া হবে।
নভেম্বরের নির্বাচনের জন্য জরিপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মামদানি, বলেছেন যে রাজ্য এবং স্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত যা ফেডারেল সরকার করবে না।
মামদানি উল্লেখ করেছেন যে ২০০৪ সালে সান ফ্রান্সিসকোর মেয়র থাকাকালীন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম ফেডারেল আইন অমান্য করে সমকামী দম্পতিদের জন্য বিবাহের লাইসেন্স জারি করেছিলেন।
তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথেও একই কাজ করতে চান, যার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
আরও পড়ুন:চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখন হেফাজতে: ট্রাম্প
এদিকে, কলম্বিয়া ল স্কুলের অধ্যাপক ম্যাথিউ সি. ওয়াক্সম্যান দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন যে এটি মামদানির ইচ্ছার চাইতেও একটি রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। বলেন যে আমেরিকার মাটিতে এই ধরনের গ্রেফতার কখনও করা হয়নি।
]]>