নারীদের নিয়ে অধিক পরিমাণে বিধান থাকায় এ সুরার নাম নিসা রাখা হয়। এছাড়া এতে তায়াম্মুম, উত্তম চরিত্র, উত্তরাধিকার এবং এতিমের অধিকার সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।
আরব দেশে বহু বিবাহ সেসময় অনেক সাধারণ বিষয় ছিল। একেকজন পুরুষের স্ত্রী পাঁচ থেকে দশ জন থাকতো। আল্লাহ তাআলা এই সুরায় স্ত্রীর সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই সাথে সামর্থ্য থাকা ও ন্যায় সংগত আচরণ করার শর্তে একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়া হয় এ সুরায়।
দেনমোহর নিয়ে এ সুরায় বিধান রয়েছে। বিয়ে করার জন্য স্ত্রীকে মোহর প্রদান করা ফরজ করা হয়েছে। বিয়ের আগেই মোহর দিতে হবে। তবে স্ত্রীর সম্মতিক্রমে পরেও দেয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বিয়েতে মোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ কত
উত্তরাধিকার সম্পদ নারী ও পুরুষ সবাই পাবে। তাই সম্পদ বণ্টনের সময় নারীরা উপস্থিত হলে বিরক্তি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া নারীদের ভরণপোষণ, অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং বিয়ের মোহরানাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব পুরুষের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।
সেসময় নারী ও শিশুদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হতো। তারা যুক্তি দিতো, যারা ঘোড়ায় সওয়ার হতে পারে না, তরবারি বহন করতে পারে না, দুশমনের মোকাবিলা করতে পারে না, তাদের সম্পত্তি দেয়া হবে না। এ জন্য আল্লাহ তাআলা নারীদের ও শিশুদের সম্পদ হরণ করা থেকে নিষেধ করেছেন এ সুরায়।
আরও পড়ুন: মৃত মা-বাবাকে স্বপ্নে দেখলে করণীয়
নারীদের সঙ্গে সদাচরণ এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তাদের অংশসংক্রান্ত আলোচনার পর ওই সব নারীর আলোচনা করা হয়েছে, আত্মীয়তা, বৈবাহিক বা দুধ সম্পর্কের কারণে যাদের বিয়ে করা হারাম।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·