অনেকে জানতে চান, আমাদের সমাজের অনেক মানুষ নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানোকে আবশ্যক মনে করেন। অনেকের মধ্যে এ ধারণাও প্রচলিত আছে যে, কোনো মেয়ে যদি নাক-কান না ফোঁড়ায়, তাহলে কেয়ামতের দিন তার শাস্তি হবে? আসলেই কি নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানো আবশ্যক?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, এসব ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইসলামি শরিয়তে, নাক-কান ফোঁড়ানো আবশ্যক কোনো বিধান নয়। কোনো নারী নাক-কান না ফোঁড়ালে তার কোনো গুনাহ হবে না এবং এ কারণে আখেরাতে তাকে শাস্তিও পেতে হবে না। তবে অলংকার পরিধানের জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন বের হলেন এবং দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। আগে-পরে কোনো নামাজ পড়লেন না। অতঃপর বেলাল (রা.) কে সঙ্গে নিয়ে নারীদের কাছে গেলেন। নারীদেরকে উপদেশবাণী শোনালেন এবং সদকা করার নির্দেশ দিলেন। উপদেশবাণী শোনে নারীরা তাদের কানের দুল এবং হাতের কঙ্কণ খুলে দিতে লাগলেন। (বুখারি: ১৪৩১)
উপরোক্ত হাদিস থেকে নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোর ব্যাপারে নবীজির অনুমোদন ও তা জায়েজ হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়। আর কোনো হাদিসে নাক-কান ফোঁড়ানোর ব্যাপারে নবীজির নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়। আবার উৎসাহও পাওয়া যায় না। কেউ চাইলে নাক-কান ফোঁড়াতে পারেন; আবার নাক-কান ফোঁড়ানো থেকে বিরতও থাকতে পারেন।
]]>