দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন শহরের ভূঁইয়াপাড়া এলাকার মরহুম হাজী কালু ভুইয়ার নাতিন সাজিয়া আফরিন সাজু, উম্মে মাহমুদা রিংকু, ফাহমিদা শারমীন মুন, মুনের স্বামী মামুন চৌধুরী লিটন ও নাত বৌ আতিফা রহমান ভূঁইয়া। নিহত মুন ও লিটনের শিশু কন্যা তাজরী এবং মাইক্রোবাসের চালক জিন্নাহ এ দুর্ঘটনায় আহত হন।
বিকেলে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এলাকা জুড়ে শোকের মাতম। পরিবারের পাঁ চজনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। শোকে কথা বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার ভোরে নিজেদের মাইক্রোবাসে চড়ে ফরিদপুরে বেড়াতে যান নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূঁইয়াপাড়া এলাকার মরহুম হাজী কালু ভূঁইয়ার বাড়ির ছয় জন সদস্য। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২টায় ফরিদপুরের গেদরা রেল ক্রসিংয়ে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ‘অবৈধ রেলক্রসিংয়ে’ ছিল না কোনো গেটম্যান, অনাকাঙ্ক্ষিত ৫ মৃত্যুর দায় কার?
এ ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর থেকেই এলাকাবাসী ও নিকট আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে এসে ভিড় করেন।
তাদের অভিযোগ, গেদরা রেল ক্রসিং অরক্ষিত থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং রেল ক্রসিংটি সুরক্ষিত করার দাবি জানান তারা।
রাত সাড়ে ৮টায় তিনটি এ্যাম্বুলেন্সে করে নিহতদের মরদেহ ভূঁইয়াপাড়ার বাড়িয়ে এসে পৌঁছে। এসময় তাদের আত্মীয়-স্বজনরা সহ শত শত এলাকাবাসী বাড়িতে জড়ো হন। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শোকাহত পরিবারটির সদস্যরা সহ তাদের স্বজনরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অটোরিকশা-ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ৩
পরিবারের সদস্যরা জানান, দূর দূরান্তের অনেক আত্মীয়-স্বজন শেষ দেখা দেখতে রওনা দিয়েছেন। এখনও তারা বাড়িতে এসে পৌঁছাননি। তাদের অনুরোধে নিহতদের মরদেহ সকালে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাড়ির পাশে স্থানীয় মসজিদে জানাজা শেষে পাইকপাড়া কবরস্থানে নিহতদের মরদেহ দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
]]>